ঝর্না দেখতে গিয়ে নিচে পড়ে গেল ছোট শিশু
বুকের ভেতরটা কাঁ*পিয়ে দেওয়ার মতো একটি দৃশ্য! বাবা-মায়ের সাথে পাহাড়ি ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছিলো ছোট্ট একটি শিশু। কে জানতো, প্রকৃতির সেই অপরূপ রূপই মুহূর্তের মধ্যে এক ভ*য়ং*ক*র মৃ*ত্যু*ফাঁ*দ হয়ে উঠবে!
হঠাৎ করেই ঝর্ণার তীব্র স্রো*ত অবুঝ শশুটিকে ভা*সি*য়ে নিয়ে আটকে ফেলে দুটি পাহাড়ের দু*র্গ*ম খাঁজে। 😭 একপাশে উত্তাল পানির স্রোত, অন্যপাশে পাথরের কঠিন দেয়াল—মাঝখানে অসহায় শিশুটির বাঁচার জন্য আ*র্ত*চি*ৎ*কা*র! বাবা-মায়ের পৃথিবী যেন সেই মুহূর্তে থমকে গিয়েছিল।
যখন প্রায় সমস্ত আশা শেষ, ঠিক তখনই সেখানে ঘটে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। উপস্থিত পর্যটকরা আর দর্শক হয়ে থাকতে পারলেন না। জেগে উঠলো তাদের ভেতরের মানবতা!
কয়েকজন সাহসী মানুষ নিজেদের জীবনের ঝুঁ*কি নিয়ে একে অপরের হাত ধরে শক্ত করে দাঁড়িয়ে গেলেন পানির স্রোতের সামনে। তারা শরীর দিয়ে তৈরি করলেন এক "মানবিক দেয়াল", যাতে ঝর্ণার ভ*য়ং*ক*র স্রোত কিছুটা বাধা পায় এবং শিশুটি ভেসে না যায়। একদিকে তীব্র স্রোতের চাপ, অন্যদিকে পাথরের খাঁজে আ*ট*কে থাকা শিশুটির কা*ন্না—সব মিলিয়ে এক রু*দ্ধ*শ্বা*স পরিস্থিতি!
অনেকক্ষণ চেষ্টার পর, অসীম সাহসিকতা আর বুদ্ধিমত্তার জোরে তারা সফল হন। কৌশলে ছোট্ট শিশুটিকে সেই ভ*য়ং*ক*র ফাঁ*দ থেকে উদ্ধার করা হয়!
এই ঘটনাটি শুধু একটি উদ্ধারকাজ নয়, এটি এক চরম সংকটে মানুষের একতার নিদর্শন। প্রমাণ করে, ধর্ম-বর্ণ-পরিচয় নির্বিশেষে বিপদের মুহূর্তে অপরিচিত মানুষগুলোই হয়ে ওঠে একে অপরের সবচেয়ে বড় আশ্রয়।
মহান আল্লাহতালার কাছে লক্ষ কোটি শুকরিয়া। শিশুটি নিরাপদে তার বাবা-মায়ের কোলে ফিরে গেছে।
আলহামদুলিল্লাহ! ❤️
স্যালুট সেই সকল প্রকৃত নায়ককে, যারা প্রমাণ করলেন—মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।
আমার অন্তরের অন্তরের স্থল থেকে তাদের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা শুভকামনা।
আরও পড়তে ক্লিক করুন
.jpeg)
0 মন্তব্যসমূহ