মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের মৃত্যু মানুষের হৃদয় গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে
মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের নিষ্পাপ সন্তান হারা পিতা-মাতার কান্না কখনো শেষ হবে না। এই দুঃখ কারো সঙ্গে শেয়ারও হবে না। এই স্মৃতি কোন দিন ভুলা ও যাবে না।
আমাদের অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ দয়া করে সন্তানহারা পিতা-মাতাকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন।যে দেশে বিপদে পড়লে ২০ টাকার পানির বোতল হয়ে যায় ৬০০ টাকা, ৫০ টাকার রিক্সা ভাড়া হয়ে যায় ২০০ টাকা, ১০ টাকার ওষুধ হয়ে যায় ১০০ টাকা, দেশে বিপদগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার পরিবর্তে ভিডিও করার পার্টি তো আছেই। এই দেশ আস্তে আস্তে কেমন যানি হয়ে যাচ্ছে। মানুষের বিবেক বোধ আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে তাই এখন এই দেশে সব কিছুই সম্ভব।
এই দেশে মহান শিক্ষিকা একজন মমতাময়ী মা মহীয়সী নারী মাহরিন চৌধুরীর মত মহৎ মানুষ জন্মেছিলেন। মাহরিন চৌধুরী এবং মাসুকরা ম্যাডাম নিজেরা দগ্ধ হয়েও নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। একটুও জীবনের মায়া করেন নি।
কোমলমতি শিশু, শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করেছিলেন নিজেদের প্রিয় জীবন উৎসর্গ করে। আজীবন শ্রদ্ধেয় মাহরিন চৌধুরী এবং মাসুকা ম্যাডাম বর্তমানে চিরনিদ্রায় শায়িত। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত তাঁদের জীবন। সভা সমাবেশে সবাই জনকল্যাণের কথা বলে, মানবতার কথা বলে কিন্তু ব্যক্তি, দল, গোষ্ঠী, দলীয় স্বার্থের কারণে, ব্যক্তি স্বার্থের কারণে ,সর্বজন স্বীকৃত নিকৃষ্ট কাজ করে, মিথ্যার আশ্রয় নেয়, তিলকে তাল বানায়, তালকে তিল বানায় , হত্যা, গুম,খুন,অপহরণ,চাঁদাবাজি, জমি দখল সহ করে না এমন কোন নিকৃষ্ট কাজ নাই। ৫ আগস্টের আগে গণতন্ত্রগামী সকল দলের জমাট বাধা ঐক্য ছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় ৫ আগস্টের পরে শুধুমাত্র স্বার্থের কারণে, ভোগ বিলাসিতার আকাঙ্খায় ,নিকৃষ্ট প্রতিহিংসার কারণে শহীদের রক্ত দিয়ে গড়া পবিত্র ঐক্য ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে দেখছি। শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করে যে যার মত বক্তব্য দিচ্ছে।
জন আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জবাবদিহিতা এবং আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে, দেশে শান্তি ফিরে আসবে। এখন যেমন একদল আরেক দলকে চাঁদাবাজ প্রমাণের জন্য ব্যস্ত হয়ে গেছে, একজন আরেক জনকে চাঁদাবাজ বলছে। সেটারও অবসান হবে। মোটকথা রাষ্ট্রের নীতিমালা অনুযায়ী দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, সে যে দলেরই হোক না কেন।
দেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই ।একটি সুশৃংখল রাষ্ট্র সব সময়ই জনসাধারণের যত্ন নেয়, জনসাধারণের প্রতি দায়িত্বশীল থাকে।যেটা আমাদের দেশে অনেকাংশেই রাষ্ট্রের নাই। তদন্ত কমিটি বারবার হয়, দোষী ব্যক্তিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য এবং নিরপরাধ নির্দোষ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর জন্য।
কিছু মৃত্যু মানুষের হৃদয়ে দীর্ঘ ক্ষত তৈরি করে। অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ দয়া করে ভয়াবহ প্রশিক্ষণ বিমানদুর্ঘটনায় নিহত লক্কোর- ঝক্কর বিমানের পাইলট তৌকির শ্রদ্ধেয় আয়া মাসুমা সহ সকল মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করে নিন এবং জান্নাতুন ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুন, জীবিত সকল শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা দান করুন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সকল সদস্যকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন ,আমীন। আল্লাহ সমস্ত মানুষ জাতির মধ্যে বিবেক বোধ জাগ্রত করে দাও পরিশেষে এই কামনা করি।
0 মন্তব্যসমূহ