ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জামায়াতের ইসলামীর কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ
জামায়াতের কাছ থেকে শেখার মূল দিকসমূহ
শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো
জামায়াতের ইউনিয়ন, উপজেলা থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সুসংগঠিত কাঠামো রয়েছে। নিয়মিত সভা, কর্মসূচি ও তদারকির কারণে তারা কর্মীদের সবসময় সক্রিয় রাখতে পারে।
আদর্শভিত্তিক রাজনীতি
কর্মীদের কাছে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক ও আদর্শিক লক্ষ্য তুলে ধরার কারণে তারা দীর্ঘদিন অনুগত থাকে। অন্য দলগুলোকেও জনগণকে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, স্পষ্ট ভিশন দিতে হবে।
আর্থিক স্বনির্ভরতা
সদস্য ও সমর্থকদের আর্থিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে জামায়াত দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এভাবে বাইরের অনুদানের উপর নির্ভরশীল না হয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া সম্ভব।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর জোর
ছাত্র সংগঠন শিবিরের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে রাজনৈতিক শিক্ষা, নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক দক্ষতায় প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে তারা। অন্য দলগুলোকেও দক্ষ কর্মী তৈরি করতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে মনোযোগী হতে হবে।
সামাজিক কাজে সম্পৃক্ততা
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুঃসময়ে জামায়াত ত্রাণ কার্যক্রম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে। সামাজিক কাজে সম্পৃক্ততা রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
উপসংহার
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের দর্শন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সংগঠন পরিচালনা, কর্মী ধরে রাখা এবং দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক টিকে থাকার ক্ষেত্রে তাদের থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। ভবিষ্যতের রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে অন্য দলগুলোকেও শক্তিশালী সংগঠন, আদর্শভিত্তিক রাজনীতি, স্বনির্ভর অর্থায়ন ও জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের দিকগুলো গুরুত্ব দিতে হবে
.jpg)
0 মন্তব্যসমূহ