রাজবাড়ী গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড, জুড়ান মোল্লাপাড়া শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, জুমার নামাজের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত।
ঘটনার বিবরণ. নুরুল হক (নুরাল পাগলা) — আশির দশকে নিজেকে “ইমাম মাহাদি” দাবি করেছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে গোয়ালন্দে দরবার পরিচালনা করতেন।
মৃত্যু ও কবর — তিনি ২৩ আগস্ট ঢাকার একটি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তার ভক্তরা তাকে “কাবা শরিফের আদলে” তৈরি, প্রায় ১২ ফুট উঁচু একটি বেদীতে দাফন করেন যা কালো রঙে রঙিন ছিল।
. বিক্ষোভ ও অবস্থান — অনেকেই এই কবর “শরিয়তের বিরোধী” বলে দাবি করেন। স্থানীয় আলেমসমাজ এবং ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’ কবর নিচু করার দাবি তোলে। প্রশাসন ও পরিবারের মধ্যে আলোচনার পরেও কোনো সমাধান আসেনি।
ক্ষুব্ধ জনতার হামলা — জুমার নামাজের পর আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। এরপর ব্যাপক সংঘর্ষ, দরবারে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ সংঘটে। প্রতি পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়; পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, কমপক্ষে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন।
লাশ উত্তোলন ও দাহ — উত্তেজিত জনতা কবর ভেঙে মরদেহ তুলে নিয়ে যায়। তাকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে নিয়ে গিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নিহত ও আহত — সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা (২৮) নামে একজন নিহত হন; আহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ। নিহত রাসেল মোল্লা নুরাল পাগলার দরবারের খাদেম ছিলেন।
প্রশাসনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ মোতায়েন করা হয়; প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
ঘটনার বিবরণ : ঘটনা ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দে সংঘটিত হিংস্র ঘটনা
কারণ নুরাল পাগলার কবর “শরিয়তের বিরোধী” হওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি
প্রতিক্রিয়া দাফনের পদ্ধতি নিয়ে জরুরি উত্তেজনা, শেষপর্যন্ত ভাঙচুর ও লাশ দাহ
ফলাফল একজন নিহত (রাসেল মোল্লা), শতাধিক আহত, পরিস্থিতি সেনা–পুলিশ নিয়ন্তরনে আছে।
বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যাচাই করে দেখা যাচ্ছে:
পরিস্থিতির সাম্প্রতিক অবস্থা বৃঅহস্পতিবার ও শুক্রবার (৫–৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবারে সংঘটিত হামলা, ভাঙচুর, এবং লাশ উত্তোলন ও দাহের পর পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এবং দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যেন অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা এড়ানো যায় ।
মামলা এবং আইনগত পদক্ষেপ
এই ঘটনার ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে, যার অসামি সংখ্যা ৩ হাজার থেকে ৩,৫০০ পর্যন্ত আনা হয়েছে ।
মামলাটি গোয়ালন্দ ঘাট থানা থেকে দায়ের করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে ।
বর্তমান অবস্থা শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে; পুলিশ মোতায়েন রয়েছে
আইনগত কার্যক্রম মামলা দায়ের (৩,০০০–৩,৫০০ জন আসামি), অভিযান চলছে
নিয়ন্ত্রণ বাহিনী পুলিশ, র্যাব ও সেনা স্থায়ীভাবে অবস্থান করছে।
0 মন্তব্যসমূহ