স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে চরম দুর্ভোগ
স্বাস্থ্য সহকারীরা বৈরী আবহাওয়া, বন্যা,ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করেও প্রতিনিয়ত তাদের EPI কর্মসূচি অত্যন্ত দক্ষতা সাথে করে আসছেন। ফলশ্রুতিতে দেশ ও জাতি পেল ভ্যাকসিন হিরু সহ নানা রকম আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি।
স্বাস্থ্য সহকারীরা ১২ অক্টোবর থেকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি ইতি মধ্যে সম্পন্ন করেছে। পরিতাপের বিষয় হলো দেশ ও জাতির জন্য এত সম্মান ও স্বীকৃতি এনে দেওয়ার পরেও যুগ যুগ ধরে তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হলো না আজও। তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন সহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা যাতে পেতে পারে তাহার ব্যবস্হা অত্যন্ত জরুরি।
ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীরা টিকা দেয় খুব করুন পরিবেশে। যা নবজাতক বাচ্ছা কিংবা গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত নয়।এই যেমন ধরেন - কেউ দেয় পরিত্যক্ত ঘরের বারান্দায়, দোকানের বারান্দায়, পরিত্যক্ত ভাঙ্গাঘরে,কিংবা স্কুলের বারান্দায়।
কখনো কখনো দোকানদার জায়গা দিতে চাই না।আবার স্কুল চলাকালীন স্কুলে টিকা দিলে বাচ্চাকাচ্চা চারদিক ঘিরে রাখে।এতে শিক্ষকরাও বিরক্ত হন।তাদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে।
আবার দোকানে টিকা দিলে গর্ভবতী মায়েরা তাদের সমস্যা/ সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে বলতে পারে না কারন নানা মানুষ জমায়েত থাকে।ভ্যাকসিন নিতে গেলে সমস্যা তৈরি হয়,কারন বখাটেরা ফ্যাল ফ্যাল করে দেকতে থাকে।এতে পর্দাশীল নারীরা আনইজি ফিল করে।
তাই কতৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন- ওয়ার্ড ভিত্তিক টিকাদানকেন্দ্র স্থাপন করা গেলে, সেবা দিতে যেমন বেগ পেতে হবে না।তেমনি সেবা সঠিক ও সুন্দর পরিবেশে নেওয়া যাবে । সেই পরিবেশ তৈরি করে জনগণের কষ্ট যেন দ্রুত লাগব করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ