Header Ads Widget

Responsive Advertisement

১৯৭১ সালের শিশু মুক্তিযুদ্ধাদের ইতিহাস


১৯৭১ সালের শিশু মুক্তিযুদ্ধাদের ইতিহাস 

মুক্তিযুদ্ধে অনেকে অনেক ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশ কে স্বাধীন করার জন্য পরিবার পরিজন ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছে। 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে মহিলারা ।তারা তাদের ইজ্জত সম্ভ্রম দিয়ে দেশ কে স্বাধীন করার জন্য দেশের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন।

এই রকম করে দেশ মাত্রীকার টানে কয়েক জন শিশু মুক্তিযুদ্ধা ও ছিল তাদের অবদান ও কম ছিল না । দেশ কে ভালবেসে যার যার অবস্থান থেকে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে।

তেমনি করে এক জন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক বীর প্রতীক।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উচ্চ বিদ্যালয় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল আবু সালেক। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে বই খাতা পেলে সীমানা পেরিয়ে কিশোরটি চলে গেল ভারতের আগরতলায়। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে লোক বাছাই চলছিল। কিন্তু আবু সালেক বয়সে ছোট হওয়াতে ওকে কেউই যুদ্ধে নিতে চাইল না। বাছাইয়ে না টিকে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলেটি। ওর কান্না দেখে বাধ্য হয়ে ওকে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিত হল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের। আগরতলা থেকে আবু সালেক নিয়ে যাওয়া হলো মেলাগড় ক্যাম্পে। তারপর বড় যোদ্ধাদের সঙ্গে কিশোর আবু সালেক শুরু করল দেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধ। এমনি একদিন ওরা ভীষণ যুদ্ধ করছিল চন্দ্রপুর গ্রামে। আবু সালেক সেই যুদ্ধে ছিল বাংকারে। প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। মুক্তিবাহিনীর একপর্যায়ে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াল। এখন ওদের সামনে একটাই রাস্তা, পিছু হটতে হবে। আর পিছু হটতে হলে একজনকে তো ব্যাকআপ দিতে হবে। নইলে যে সবাই মারা পড়বে। এগিয়ে এলো সবার ছোট কিশোর আবু সালেক। ছোট্ট কাঁধে তুলে নিল বিশাল এক দায়িত্ব। ক্রমাগত গুলি করতে লাগল পাকবাহিনীর ক্যাম্প লক্ষ্য করে। আর সেই অবসরে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেল অন্যরা। ও কিন্তু গুলি করা থামাল না । তার গুলির ধরন দেখে পাকবাহিনী মনে করল, মুক্তিযোদ্ধারা খুব সংগঠিতভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। ফলে ওরাও পিছু হটে গেল। বাংকারে থেকে গেল শুধু আবু সালেক। একসময় রাত শেষ হয়ে সকাল হয়ে গেল। মুক্তিযোদ্ধারা ভেবেছিল আবু সালেক নিশ্চয়ই শহীদ হয়েছে। কিন্তু বাংকারে গিয়ে সবাই দেখল কিশোর আবু সালেক একা বাংকারে বসে আছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ