বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারীর প্রেমিক বিজু
বর্তমান পুরুষদের মধ্যে লাখে জয়নাল হাজারী একজন হয়,,, এখনতো বউ থাকতেই তারা দ্বিতীয় বউয়ের ব্যবস্থা করে নেয়। কারো কারো আবার বউ মারা গেলে লাশ পচার আগেই নতুন বউ ঘরে তোলে।
যে মেয়েরা স্বাবলম্বী,, কিংবা নিজে ইনকাম করে তারা একটা পুরুষের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে জীবন কাটিয়ে দেয়। আর যারা খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে না ,, তারা এক প্রকার বাধ্য হয়েই দ্বিতীয় পুরুষের হাত ধরে ।
মহান মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার আগে বিজুর সাথে কথা ছিল- যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশে মহা ধুমধামে বিজুকে বিয়ে করবেন। যুদ্ধ চলাকালীন জানতে পারেন, জোর করে কোনো এক রাজাকারের সাথে বিজুর বিয়ে দেওয়া হয়েছে! প্রতিজ্ঞা করেন, যুদ্ধ শেষে স্বাধীন দেশে ওই রাজাকারকে প্রথম খুন করবেন। দেশ স্বাধীন হয়, ফিরে আসেন। ফিরে এসে জানতে পারেন, জোর করে বিজুকে বিয়ে দেওয়া হয়নি। বিজু তার নিজ ইচ্ছায় স্থানীয় এক কলেজের প্রিন্সিপালকে বিয়ে করেছে। জানার পর চুপ হয়ে যান। সারা জীবন চিরকুমার থেকে যান, তিনি আর বিয়ে করেননি
বিজুর হাসবেন্ড ছিলো একজন রাজাকার, জয়নাল হাজারি চাইলেই বিজুর হাসবেন্ড কে মে***রে ফেলতে পারতেন কিন্তু বিজুর সুখের কথা চিন্তা করে জয়নাল হাজারি বিজুর হাসবেন্ড কে মারেন নাই,,, একুশে টিভির এক টকশোতে বলেছেন নিজেই জয়নাল হাজারি
ওই সময় যদি বিজুর বিচার হত আজকে এত মানসিক নির্যাতনের শিকার হতো না পুরুষরা ।
বিজূর বিচার চাই। রাজনীতিতে হাজারীর কর্মকাণ্ড বিতর্কিত হতে পারে। এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হাজারী কর্মকাণ্ডে বিব্রত করেছে। কিন্তু ব্যক্তি জীবনে হাজারীর কমিটমেন্ট এবং ডিটারমাইন্ড বর্তমান পুরুষদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ।
দোর্দণ্ড প্রতাপশালী জয়নাল হাজারী।উপস্থাপিকা যখন বিজু সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিল, অসহায়ের মত বার বার বলছিলেন "বাদ দেন,এসব। না বললেই কি নয়।" এমন অসহায় চোখ গুলো দেখলে যে কারো হৃদয়ের আগুন,তীব্র দাবানল হয়ে পুরো পৃথিবী ছারখার করে দিতে ইচ্ছে হয়।এবং দেখার বিষয় ছিল হাজারী সাহেবের বিজুর প্রতি সম্মানবোধ।
0 মন্তব্যসমূহ