ডাকসু নির্বাচনের সর্বশেষ অবস্থা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামীকাল, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনটি ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের ছাত্ররাজনীতিতে প্রথম বৃহৎ নির্বাচনী আয়োজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।
🗳️ নির্বাচনের প্যানেল ও প্রার্থীরা
নির্বাচনে মোট ২৮টি পদে ৬৫৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন, যার মধ্যে ১০৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন । নির্বাচনে পাঁচটি প্রধান প্যানেল অংশগ্রহণ করছে:
1. শিবির–সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট: ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম, জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ, এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
2. বামপন্থী সাত ছাত্রসংগঠনের সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদ: ভিপি প্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ, জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু, এজিএস প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল।
3. স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য: ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা, জিএস প্রার্থীরা খান মাহমুদুল হাসান, আল সাদী ভূঁইয়া ও মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি, এজিএস প্রার্থী জাহেদ আহমেদ।
4. ছাত্রদল–গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ: ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ, এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
5. ছাত্রলীগ সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ: ভিপি প্রার্থী সাদ বিন কাদের চৌধুরী, জিএস প্রার্থী গোলাম রব্বানী, এজিএস প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন।
⚖️ আইনি জটিলতা ও নির্বাচন স্থগিতাদেশ
হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচনের কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে একটি আদেশ দিয়েছিল। তবে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই আদেশ স্থগিত করে ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করেছে ।
📊 জরিপ ও জনমত
নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জরিপে ছাত্রদল ও শিবির–সমর্থিত প্যানেলগুলোর প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, এসব জরিপের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, কারণ কিছু জরিপকারী সংগঠনের সঙ্গে ছাত্রশিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে ।
🔮 ভবিষ্যৎ প্রতিক্রিয়া
নির্বাচনের ফলাফল ছাত্ররাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের সমস্যাগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন এবং ক্যাম্পাসের সং
স্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন সাধারণত খুব উত্তেজনাপূর্ণ এবং কখনো কখনো বিতর্কিত হয়ে থাকে। চলতি নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে বিশ্লেষণমূলক ধারণা দিলাম:
১️⃣ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি
ডাকসু নির্বাচন প্রায়শই দেশের ছাত্ররাজনীতির বড় মঞ্চ হয়ে থাকে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্যানেলগুলো সাধারণত রাজনৈতিক দলসমর্থিত, যেমন: ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ইত্যাদি।
নির্বাচনের আগে প্রচারাভিযান, পোস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম খুবই তীব্র হয়।
২️⃣ ভোটার ও ভোটদান
ডাকসু নির্বাচন প্রায় ৩০–৪০ হাজারের মতো ভোটার নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটাররা হল, বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য।
ভোটদান প্রায়শই শান্তিপূর্ণ হয়, তবে কখনো কখনো বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
৩️⃣ সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ
প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র: ভিপি, জিএস, এজিএস প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা প্রচণ্ডভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা: প্রশাসন নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখার চেষ্টা করে।
ভোটে হস্তক্ষেপের আশঙ্কা: রাজনৈতিক গোষ্ঠী বা প্রভাবশালী শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপের অভিযোগ মাঝে মাঝে উঠে।
৪️⃣ সম্ভাব্য ফলাফল ও প্রভাব
নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সাধারণত ক্যাম্পাসের নীতি ও শিক্ষার্থীদের সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
নির্বাচনের ফলাফল শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক ধারার শক্তি ও জনপ্রিয়তার মানদণ্ড হিসেবে দেখা হয়।
যদি কোনো পক্ষ জয়ী হয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নীতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলতে পারে।
৫️⃣ সারসংক্ষেপ
নির্বাচন হবে উত্তেজনাপূর্ণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।যদিও বড় ধরনের সহিংসতা সাধারণত ঘটে না, কিন্তু ভোটের দিন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা কড়া রাখা হয়।ফলাফল রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব বহন করবে।
0 মন্তব্যসমূহ