SmartBlog।। আজকের ব্রেকিং নিউজ বাংলাদেশ

  ডাকসু নির্বাচনে আজকে ভোট গ্রহন সহ নিয়ম অনিয়ম

নিচে আজ, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (DUCSU) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া, নিয়ম কানুন এবং ঘটে যাওয়া অনিয়ম বা অভিযোগগুলোর বিস্তারিত তুলে দেওয়া হলো:

১. আজকের ভোটগ্রহণের কার্যক্রম ও নিয়মাবলী

• ভোট গ্রহণ শুরু ও সময়
  ভোটগ্রহণ আজ সকাল ৮টা ০০ মিনিটে শুরু হয় এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে  ।

• ভোটার ও প্রার্থীর সংখ্যা ও কেন্দ্রগুলো
  মোট প্রায় ~39,775–39,874' জন ভোটার আছে ।
  ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৮টি কেন্দ্র—যেমন: টিএসসি, কার্জন হল, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, ডিইউ ক্লাব, সেনেট ভবন, উদয়ান স্কুল ও কলেজ, ভূতত্ত্ব বিভাগ ও ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল।

• ভোটের পদ্ধতি
  প্রতিটি ভোটারকে মোট ৪১ টি ভোট দিতে হবে—DUCSU কেন্দ্রীয় পদ এবং হল ইউনিয়ন উভয় নির্বাচনে ।
  ভোট গ্রহণে OMR (Optical Mark Recognition) পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে ।

• নির্বাচন নিয়ম ও পরিচয় যাচাই
  ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ব্যালট বাক্স খালি দেখিয়ে সীল করা হয় সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সামনে ।
  ভোটারদের ID—যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কার্ড, বিভাগীয়/হল/লাইব্রেরি আইডি বা পে-স্লিপ—দেখিয়ে প্রবেশ করতে হয় ।

• নিরাপত্তা ব্যবস্থা
  প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (পুলিশ, BGB, SWAT, আনসার) এবং স্বেচ্ছাসেবক (Rover Scouts, NCC ইত্যাদি) মোতায়েন রয়েছে।
  এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে চেকপোস্ট স্থাপন ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে  ।

২. নির্বাচনী নিয়মের সারমর্ম (নতুন সংবিধান অনুসারে)

• কোন ছাত্র ভোট দিতে/প্রার্থী হতে পারে
  কেবল নিয়মিত ভর্তি—ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা এমফিল কোর্সে ভর্তি ও হলের বাসিন্দা পূর্ণ-সময়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাই ভোটার বা প্রার্থী হতে পারে ।
  শিক্ষাগুন Evening/MBA/डीপ্লोमा/সার্টিফিকেট/ভাগ্যিক কোর্স বা সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পান না ।

• নামজারি ও নির্বাচনী সময়সূচি

  • ভোটার তালিকা প্রস্তুতি ও আপত্তি পদ্ধতি: জুলাই–আগস্ট

  • প্রার্থীতা পত্র সংগ্রহ ও দাখিল: আগস্ট

  • মনোনয়ন যাচাই ও প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: আগস্ট ।

  • নির্বাচন—৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫।

৩. আজকের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব অভিযোগ ও বিতর্ক উঠেছে

• ভোটগ্রহণে ঝামেলা ও কারচুপি অভিযোগ
  VP প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেছেন ভোটগ্রহণে কারচুপি হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তারা লিখিত অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন ।
  GS প্রার্থী আবু বকর মজুমদারও বলেছেন কিছু ভোটার OMR পূরন আগেই থেমে গিয়েছিল, "ballots had been pre-filled" ।

• নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন
  VP প্রার্থী আয় র র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে বলেছে ১০০ গজের মধ্যে "slip tokens" দেওয়ার মতো আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে—যদিও আইন অনুযায়ী এটি নিষিদ্ধ ।

• কেন্দ্র দখলে টানাপোড়েন
  AF রহমান হলে ভোট কেন্দ্রে AGS প্রার্থীর (অ্যাবদুল্লাহ আল জুবায়ের) repeated entry নিয়ে চিহ্নিত সংঘর্ষের ঝামেলা তৈরি হয়, যা পুলিশ হস্তক্ষেপে শান্ত হয় ।

• VP প্রার্থীর ভোঁতা প্রবেশ নিয়ে বিভ্রান্তি
  Abidul ইসলাম খান একটি কেন্দ্র (Jagannath Hall উদ্দেশ্যে) গিয়েছিলেন, যা নিয়ে বেসামরিক Returning Officer বিরোধিতা করেছিলেন; তবে Section 12(b) অনুযায়ী প্রার্থীরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন—নক কথন শেষে ভূল বোঝাবুঝি তথ্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া হয় ।

• নিরাপত্তা ও ছায়া পরিস্থিতি
  নির্বাচনকালীন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার অবস্থা উদার হলেও, কিছু কেন্দ্রে “clash” এবং “obstruction” এর অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
  এছাড়া একটি সাংবাদিক নির্বাচন কাভার করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার মর্মান্তিক খবরও পাওয়া গেছে ।

সারসংক্ষেপ: আজকের ভোটগ্রহণ—নিয়ম বনাম অনিয়ম

দিক	তথ্য
নিয়মে কী আছে	- ভোট ও প্রার্থীতা শুধুমাত্র নিয়মিত ভর্তি ও হল-সংযুক্ত শিক্ষার্থী। - OMR পদ্ধতিতে ৪১ টি ভোট, পরিচয় যাচাই বাধ্যতামূলক। - নির্ধারিত সময় (৮ টা – ৪ টা), ব্যালট বাক্স সীল, কঠোর নিরাপত্তা।
আজকের সুষ্ঠুতা	- উৎসাহী ভোটার, শান্ত পরিবেশ; কেন্দ্রে দীর্ঘ সারি ও উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ। - প্রশাসনিক প্রস্তুতি, প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন।
উঠেছে যেসব অনিয়ম	- কারচুপির অভিযোগ, OMR পূরণের আগে অভিযোগ। - কেন্দ্রে স্লিপ টোকেন বিতরণের অভিযোগ। - কেন্দ্র দখল, repeated entry নিয়ে ঘটনা। - VP প্রার্থীর প্রবেশ নিয়ে বিভ্রান্তি (শেষে ঠিক আছে বলে দ্বন্দ্ব মীমাংসা)। - সাংবাদিকের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা।

আজকের DUCSU নির্বাচনে শক্ত নিরাপত্তা ও ভালো প্রস্তুতির মাধ্যমে অনেকটা শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে নানা অনিয়ম এবং অভিযোগের কারণে নির্বাচন পুরোপুরি সুষ্ঠু মনে হয়ে উঠছে না—যদিও প্রার্থীদের প্রবেশ-প্রত্যাবর্তন, নির্ধারিত সময়, ও OMR ব্যবস্থার যথাযথ ব্যবহার এর ইতিবাচক দিক। তবে কারচুপি বা আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তযোগ্য এবং নির্বাচন কমিশন/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য তা গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়নের প্রয়োজন।

আপনি চাইলে এই অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে বিশ্লেষণ বা পরবর্তী দিনগুলোর ফলাফলাদি জানতে দিতে পারেন।

আরও পড়তে ক্লিক করুন